এই ভুল থাকলে সবাই Lakshmir Bhandar ১০০০ টাকা পাবে না – তবে কিভাবে পাবে?

রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার অনুদান দ্বিগুণ করার কথা ঘোষণা করেছে। এখন থেকে, সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা (Lakshmir Bhandar) প্রতি মাসে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১,০০০ টাকা ভাতা পাবেন এবং তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি মহিলারা ১,০০০ টাকার পরিবর্তে প্রতি মাসে ১,২০০ টাকা ভাতা পাবেন।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক খুশি বাংলার (West Bengal) মহিলারা। আর এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধিতে বাংলার প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মহিলা আর্থিক ভাবে উপকৃত হবে। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই বর্ধিত ভাতা এখনই দেওয়া হচ্ছে না। বর্ধিত ভাতা এপ্রিল মাস থেকে কার্যকরী হবে, যা মে মাস থেকে হাতে পাবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধাভোগী মহিলারা।

২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী বাংলার মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা পাওয়ার যোগ্য। ২০২১ সালে এই প্রকল্প চালু করেছিল বর্তমান সরকার। এবছরের শুরুতে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান দ্বিগুণ করে দিল রাজ্য সরকার। এর জন্য ২০২৪ রাজ্য বাজেটে অতিরিক্ত ১,২০০ কোটি টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার খাতে বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি ঘোষণার পরই বাংলার মহিলাদের মনে প্রশ্ন জাগছে-কাদের দেওয়া হবে এই বর্ধিত ভাতা সবাই পাবে তো! এর জন্য নতুন কী করতে হবে, নতুন কোন নথি জমা করতে হচ্ছে নাতো, কোথায় যোগাযোগ করতে হবে এই সব আলোচনা চলছে। এখানে এই সব সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই বর্ধিত ভাতা পেতে নিবন্ধকৃত সুবিধাভোগীদের নতুন করে কিছু করতে হবে না, নতুন কোনো নথি জমা করতে হচ্ছে না। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আধার কার্ড, সুবিধাভোগীদের আধার কার্ডে নাম, ঠিকানা বয়স ইত্যাদি সবকিছু ঠিক থাকতে হবে, এবং ব্যাঙ্ক পাস্ বই এর সাথে লিংক থাকতে হবে।

তাছাড়া ব্যাঙ্ক পাস্ বই এবং আধার কার্ডে একই নাম থাকতে হবে। এই সমস্ত ঠিক থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই বর্ধিত ভাতা সবাই পাবে। আর যাদের ব্যাঙ্ক পাস্ বই এবং আধার কার্ডে আছে তারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা পাবে না। এই সুবিধা গুলি পেতে তাদের অবিলম্বে এইগুলো সংশোধণ বা ঠিক করতে হবে।

আর এখন পর্যন্ত যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নিবন্ধিত করেন নি তারা এলাকার আয়োজিত দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন পূরণ করতে হবে। তবেই তারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা পেতে শুরু করবেন। আর একটা সুবিধার কথা এখানে না উল্লেখ করলে হয়না- লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে বার্ধক্য ভাতাকেও জুড়ে দিয়েছে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এবার থেকে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের বয়স ৬০ বছর হলেই তাঁদের নাম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বার্ধক্য ভাতায় তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে। বার্ধক্য ভাতার জন্য আলাদা করে তাদের আর আবেদন করতে হবে না।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Comment