সিভিক ভলেন্টিয়ার থেকে WBP জুনিয়র কনস্টেবল নিয়োগ, বিরাট বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের

সিভিক ভলেন্টিয়ার থেকে WBP জুনিয়র কনস্টেবল নিয়োগ, বিরাট বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের। সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) এর চাকরি একজন বেকার যুবককে আর্থিক সংকট থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। অনেকটা ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’-র মতো। কিন্তু বর্তমানে এই সামান্য বেতনের টাকায় সংসার চালাতে গিয়ে অনেক সিভিক ভাই হিমসিম খাচ্ছে। এছাড়াও সিভিক ভলেন্টিয়ারা অন্যান্য পুলিশ কর্মচারীদের মতো বিশেষ সুযোগ সুবিধা পায় না। পুলিশের অনান্য পদের থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার চাকরি সম্পূর্ণ আলাদা।

রাজ্য পুলিশের অনান্য পদ যেমন জুনিয়র কনেস্টবল থেকে শুরু করে উচ্চ পদ গুলিতে একটি বেতন কাঠামো রয়েছে। তাছাড়াও আবার নিয়মিত বেতন বৃদ্ধি হয়ে থাকে। একজন সদ্য জুনিয়র কনেস্টবল পদে জোগ দেওয়া কর্মীর বেতন সিভিক ভলেন্টিয়ারদের তুলনায় অনেক বেশি। এই সংকটময় অবস্থা থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার দের উদ্ধার করার জন্য মমতা ব্যানার্জির সরকার রাজ্য পুলিশের অনান্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০% কোটা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করেছে।

রাজ্য সরকারের এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা সিভিক ভলেন্টিয়ার দের কাছে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেকটা সুযোগ এনে দিয়েছে। এর আগে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাছে কোন রকম পদোন্নতির সুযোগ ছিল না। এই সংরক্ষণ চালু হওয়াতে যোগ্যদের কাছে রাজ্য পুলিশের অনান্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা এনে দেয়। তার ফলে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের একাংশের মনে অনেকটা খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

এর আগে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কোটা মেনে সরাসরি কনস্টেবল পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু কাজটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব, বয়সের জটিলতা, আরও অনেক কিছু সমস্যা। তাই আইনি জটিলতা কাটিয়ে যোগ্য সিভিক ভলেন্টিয়ারদের একাংশকে জুনিয়র কনেস্টবল পদে নিয়োগ করা হবে।

সদ্য সমাপ্ত রাজ্য বাজেটে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সরাসরি রাজ্য পুলিশের চাকরিতে আসার জন্য সংরক্ষণ কোটার পরিমাণ ১০% থেকে বাড়িয়ে ২০% করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে সিভিক ভাই রা অত্যন্ত খুশি হয়েছে। খুশি তো হওয়ারই কথা এর বড় সুখবর সিভিক ভলেন্টিয়ারদের আর কি হতে পারে। এছাড়াও বেতনও খানিকটা বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।

কিন্তু কথা হচ্ছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য ২০% কোটা ঘোষণা করা হলেও আদও কি সব পদ গুলি পুরন করা যাবে কি না সে বিষয়ে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কারন বেশিরভাগ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বয়স ৩০ বছরের উর্ধ্বে। আর এদিকে রাজ্য পুলিশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ শ্রেনীর প্রার্থীদের বেলায় সর্বোচ্চ ৩০ বছর হয়ে থাকে। আমার মতে সরকারের এই দিকটা একটু শিথিল করা দরকার।

তবে এই সব আইনি জটিলতা কাটিয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সরাসরি জুনিয়র কনেস্টবল পদে দ্রুত নিয়োগের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সরকার যথা সাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কারন রাজ্য পুলিশে এখনো অনেক শূন্যপদ আছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য পুলিশে একটা বড় মাপের নিয়োগ হবার সম্ভবনা রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Comment