১০০ দিনের বকেয়া টাকার জন্য রাজ্যের জব কার্ড (Job Card) হোল্ডারদের আরোও বেশ কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। এই টাকা ২১শে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১লা মার্চ থেকে দেওয়া হবে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কিছু দিন আগে ঘোষনা করেছিলেন কেন্দ্র (India) সরকার টাকা না দিলেও ২১শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের জব কার্ড হোল্ডারদের বকেয়া মজুরী রাজ্য (West Bengal) সরকার মিটিয়ে দেবে।
গত বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধান সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান এই টাকা দিতে আরোও বেশ কয়েকটা দিন দেরি হচ্ছে। আধার লিংক বাধ্যতা মূলক যাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের সাথে আধার লিংক নেই তাদের জব কার্ডের টাকা পেতে অসুবিধা হবে। সুতরাং প্রাপকদের তাড়াতাড়ি আধার লিংক করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের হিসাবে ২১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারের মুজুরী বকেয়া রয়েছে বলে আনুমান করা হয়েছিল, পরে দেখা যায় আরও অনেক ন্যায্য প্রাপক রয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার জব কার্ড হোল্ডার রয়েছেন।
দূর্নীতি এড়াতে প্রাপকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টসহ অন্যান্য নথী যাচাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করতে বেশ কিছু দিন সময় লাগছে। তাই ২১ ফেব্রুয়ারী থেকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এর পরিবর্তে ১লা মার্চ ২০২৪তারিখ থেকে জব কার্ডের টাকা সরাসরি ব্যাংকের একাউন্টে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
গরিব মানুষকে রোজগারের নিশ্চয়তা দিতে দেশে শুরু হয়েছিল ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প। কিন্তু গত কয়েক বছর গরিব মানুষরা ১০০ দিনের কাজের টাকা এখনো পর্যন্ত হাতে পাননি। রাজ্য সরকার বলছেন কেন্দ্র এই প্রকল্পে টাকা দিচ্ছেন না। আর এদিকে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গে এই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছে।
ইতিমধ্যেই সেই দুর্নীতির আপাত দৃষ্টিতে কিছু প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। যদিও বাংলা শাসক দল সেই অভিযোগ মানতে রাজি নয়। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যের টালবাহানা চলছে, আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্যের গরিব মানুষদের কে।
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রায় ১১ লক্ষ প্রাপকের আবাস যোজনার টাকাও দিচ্ছে না কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে এই টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে টাকাও যদি এপ্রিল মাসের মধ্যে কেন্দ্র না মেটায় তবে ১ লা মে ২০২৪ তারিখ থেকে রাজ্য সরকার আবাস যোজনার প্রাপকদের বরাদ্দ অর্থ দেবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিধানসভায় উল্লেখ করেন।