ই-শ্রম কার্ড নতুন নিবন্ধন, যোগ্যতা, এবং সুবিধা

ই-শ্রম কার্ড (E-Shram Card) হল আধার সহ একটি কেন্দ্রীভূত ডাটাবেস। এটি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য মন্ত্রকগুলি দ্বারা বাস্তবায়িত সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি দিন মজুরি এবং নির্মাণ শ্রমিকদের তাদের কর্মস্থলে সামাজিক নিরাপত্তা এবং কল্যাণ সুবিধার বহনযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। E-Shram Card নতুন নিবন্ধন, যোগ্যতা, এবং সুবিধা সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

ই-শ্রম কার্ড: নিবন্ধন প্রণালী:

কর্মীরা ই-শ্রম পোর্টাল https://www.eshram.gov.in/-এ আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ বিবরণ প্রদান করে নিবন্ধন করতে পারেন। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং খুব সহজে এবং কোনোরকম চার্জ ছাড়াই সম্পন্ন করা যেতে পারে। পোর্টালটি অবশ্যই আধার রেকর্ডের বিবরণ যাচাই করে।

(১) ই-শ্রম নিবন্ধনের জন্য মনোনীত অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।

(২) আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত বিবরণ যেমন নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেল ঠিকানা ইত্যাদি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

(৩) অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরে, নিবন্ধনের সময় আপনার দেওয়া প্রমাণপত্রগুলি ব্যবহার করে পোর্টালে লগ ইন করুন।

(৪) ই-শ্রম কার্ডের জন্য অনলাইন আবেদনপত্র অ্যাক্সেস করুন। সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন। বিশদ বিবরণে আপনার নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, ঠিকানা, আধার নম্বর, পেশার বিবরণ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

(৫) আবেদনপত্রের প্রয়োজন অনুসারে প্রয়োজনীয় নথিগুলি স্ক্যান করুন এবং আপলোড করুন। এই নথিগুলিতে আপনার আধার কার্ড, পাসপোর্ট আকারের ছবি, ঠিকানা প্রমাণ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং অন্যান্য সহায়ক নথি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

(৬) আবেদনপত্রে প্রদত্ত সমস্ত তথ্য এবং নথি দুবার চেক করুন। একবার আপনি নিশ্চিত হন যে সবকিছু সঠিক আছে তবেই আবেদন জমা দিন।

(৭) সফলভাবে আবেদন জমা দেওয়ার পরে, আপনার একটি স্বীকৃতি বা রেফারেন্স নম্বর দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে রেফারেন্সের জন্য এই নম্বরটি নোট করুন বা সংরক্ষণ করুন।

(৮) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন প্রক্রিয়া করবে, প্রদত্ত বিশদ বিবরণ যাচাই করবে এবং যেকোনো প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।

(৯) আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনি ই-শ্রম কার্ড পাবেন, যা আপনার নিবন্ধিত ইমেলে পাঠানো হতে পারে বা পোর্টালে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ হবে ।

যোগ্যতার মানদণ্ড:

নির্মাণ শ্রমিক এবং দিন মজুরি উপার্জনকারী সহ ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সী সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা ই-শ্রম কার্ডের জন্য নিবন্ধন করার যোগ্য। তাদের EPFO/ESIC বা NPS-এর সদস্য হওয়া বাধ্যতা মূলক নয়।

প্রয়োজনীয় নথি:

  • আধার কার্ড।
  • আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর।
  • ব্যাংক পাস্ বই।

ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা:

ই-শ্রম কার্ড থাকলে নিম্নলিখিত সুবিধা গুলি পাবেন:

  • ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর প্রতি মাসে ৩,০০০/- টাকা পেনশন।
  • একজন শ্রমিকের আংশিক প্রতিবন্ধীতার ক্ষেত্রে ২,০০০০০/- টাকার মৃত্যু বীমা এবং ১,০০০০০/- টাকার আর্থিক সহায়তা।
  • যদি কোনও সুবিধাভোগী (একটি ই-শ্রম কার্ড সহ একটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী) কোনও দুর্ঘটনার কারণে মারা যান, তবে পত্নী সমস্ত সুবিধা পাবেন৷

কিভাবে ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করবেন ?

আবেদন জমা দেওয়ার পরে ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করার ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি এখানে রয়েছে:

(১) ই-শ্রম অফিসিয়াল পোর্টালে যান।

(২) ‘অলরেডি রেজিস্টার্ড’ ট্যাবে ক্লিক করুন এবং ‘UAN কার্ড আপডেট/ডাউনলোড করুন’ বিকল্পটি বেছে নিন।

(৩) আপনার UAN নম্বর, জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা কোড লিখুন। ‘জেনারেট ওটিপি’ বোতামে ক্লিক করুন।

(৪) আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি OTP পান। ওটিপি প্রবেশ করান এবং ‘ভেলিডেট’ বোতামে ক্লিক করুন।

(৫) স্ক্রিনে প্রদর্শিত ব্যক্তিগত বিবরণের যথার্থতা নিশ্চিত করুন।

(৬) সাবমিট করা বিশদ পর্যালোচনা করতে ‘প্রিভিউ’ বিকল্পে ক্লিক করুন এবং তারপর ‘সাবমিট’ বোতামে ক্লিক করুন।

(৭) আপনার মোবাইল নম্বরে আরেকটি OTP পান। OTP লিখুন এবং ‘ভেরিফাই’ বোতামে ক্লিক করুন।

(৮) কার্ড তৈরি হবে এবং স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।

(৯) ই-লেবার কার্ড সংরক্ষণ করতে, ডাউনলোড বিকল্পে ক্লিক করুন।

কিভাবে ই-শ্রম কার্ডের ব্যালেন্স চেক করবেন ?

আপনার অর্থপ্রদানের স্থিতি পরীক্ষা করতে, এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:

(১) ই-শ্রম অফিসিয়াল পোর্টালে যান।

(২) ‘ই-আধার কার্ড বেনিফিশিয়ারি স্ট্যাটাস চেক’ লেবেলযুক্ত লিঙ্কে ক্লিক করুন।

(৩) কার্ড নম্বর, UAN নম্বর বা আধার কার্ডের তথ্য লিখুন।

(৪) ‘সাবমিট’ বোতামে ক্লিক করুন।

(৫) ই-শ্রাম পেমেন্ট স্ট্যাটাস স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Comment